হ্যালো বন্ধুরা কেমন আছেন। আমরা যখনই ফোন কিনতে যাই আমরা ফোন এর ক্যামেরা থেকে শুরু করে ডিজাইন সমস্ত তাই লক্ষ করি কিন্তু একটি বিশেষ জিনিস ডিসপ্লে নিয়ে আমরা অনেক বিভ্রান্তি শুরু হয় কোন ডিসপ্লের ফোন টা নেওয়া উচিত আইপিএস এমোলেড নাকি ওলেড। তো আজকের এই আর্টিকেল এ আমি পুরোটা বিস্তারিত আলোচনা করবো যাতে পরের বার ফোন কিনতে গিয়ে আপনাকে কোনো বিভ্রান্তির মুখে পড়তে না হয়।
বর্তমান সময়ে আমাদের কাছে অনেক ধরণের টেকনোলজি উপস্থাপন হয়েছে এবং ডিসপ্লে ক্ষেত্রে কিন্তু তার কোনো ব্যাতিক্রম নেই।
মোবাইলের ডিসপ্লে কত প্রকার
আমরা মূলত চার ধরণের ডিসপ্লে বেশি দেখতে পায় যদিও বা আরো অনেক ধরণের ডিসপ্লে বাজারে পাওয়া যাই কিন্তু আজকে আমি এই চার ধরণের ডিসপ্লে নিয়েই আলোচনা করবো।
- TFT DISPLAY
- LCD DISPLAY
- OLED DISPLAY
- AMOLED DISPLAY
TFT DISPLAY কি? এবং কিভাবে কাজ করে
TFT ডিসপ্লের পুরো অর্থ হলো (Thin Flim Transistor) থিন ফ্লিম ট্রান্সিস্টর। এই ডিসপ্লে টি আমাদের ক্যালকুলেটর,টিভি,কম্পিউটার মনিটর এবং মোবাইল ফোনেও দেখতে পায়।
আরও পড়ুন: গ্রাফিক্স কার্ড কি ? গ্রাফিক্স কার্ড কেন ব্যবহার করা হয়
TFT ডিসপ্লে কার্যকারিতা
TFT ডিস্পলের পেছন দিকে লাইট এর ব্যবহার হয় এবং তার ওপর polarizedএর প্যানেল লাগানো থাকে। লাইট কখনো একই দিশা তে যেতে পারে না চারি দিকে ছড়িয়ে পরে (যেমন সূর্য) এই চারি দিকে ছড়িয়ে পড়া লাইট কে একই দিকে চালিত করার জন্য polarized প্যানেল এর ব্যবহার হয়। এবং এই polarized প্যানেল এর উপর r,g,b অর্থাৎ red,green,blue কালার ফিন্টার লাগানো থাকে। যার ফলে আমরা ডিসপ্লে তে ছবি দেখতে পায়।
এই টিএফটি ডিসপ্লে খুব কম শক্তি খরচ (power consume) করে। এবং এই টিএফটি ডিসপ্লে চোখের জন খুব একটা ক্ষতিকর হয় না।
LCD ডিসপ্লে কি ?
LCD ডিসপ্লের ফুল ফর্ম হলো (liquid crystal display) এখন সচরাচর কম দামি ফোন থেকে শুরু করে টিভি সর্বোত্তই ব্যবহার হচ্ছে। কারণ এলসিডি ডিসপ্লের ছবির মান অনেক ভালো হয় এবং দামের দিক থেকেও অনেক কম হয়।
এলসিডি ডিসপ্লে কার্যকারিতা
এলসিডি ডিসপ্লে টিএফটি ডিসপ্লের অ্যাডভান্স ভার্সন এখানে সম্পূর্ণটাই টিএফটি ডিসপ্লে মতোই তৈরী তবে এলসিডি ডিসপ্লেতে polarized প্যানেল এর মধ্যে (Liquid crystal) এর ব্যবহার করা করা হয়েছে যার ফলে কালার আরো অনেক গুন্ ভালো বোঝা যাই এলসিডি ডিসপ্লেতে।
আরও পড়ুন: Snapdragon এবং Mediatek এর মধ্যে কোনটি ভালো
Amoled ডিসপ্লে কি
এমোলেড ডিসপ্লে ফুল ফর্ম হলো (Active Matrix Organic Light Emitting Diodes) আমরা আগের পয়েন্ট এ দেখলাম যে এলসিডি বা টিএফটি ডিসপ্লে তে কোনো ছবি কে দেখানোর জন্য আলাদা করে ডিসপ্লের নিচে লাইট এর ব্যবহার করা হয়। কিন্তু এমোলেড এর ক্ষেত্রে সেটা হয় না। এমোলেড ডিসপ্লেতে পিক্সেল অনুযায়ী লাইট এর ব্যবহার করা হয়।
এলসিডি তে আমরা যদি কালো কালার দেখতে চাই তখন এলসিডি পিক্সেল অনুযায়ী কালার তৈরী করে আমাদের সামনে উপস্থাপনা করে।
কিন্তু এমোলেড এ কালো কালার প্রয়োজন হলে পিক্সেল সেই জায়গার লাইট বন্ধ করে দেয়। যার ফলে কালো কালার আরো ভালো করে ফুটে ওঠে। এর ফলে এমোলেড ডিসপ্লে তে power consume খুব কম হয়।
এমোলেড ডিসপ্লে তে লিকুইড এবং polarized প্যানেল ব্যবহার না করার কারণে অনেক পাতলা হয়। এবং এই এমোলেড ডিসপ্লে জন্যই আমরা IN DISPLAY ফিঙ্গারপ্রিন্ট এর মতো প্রযুক্তি ব্যবহার করতে পারছি।
এমোলেড ডিসপ্লে এবং সুপার এমোলেড ডিসপ্লে মধ্যে বিশেষ কিছু তফাৎ নেই শুধু সুপার এমোলেড এ টাচ রেস্পন্ডস এমোলেড এর তুলনায় অনেক ভালো।
OLED ডিসপ্লে কি
OLED ডিসপ্লে পুরো অর্থ (Organic Light Emitting Diodes) একটি flat light emitting টেকনোলজি। ওলেড ডিসপ্লেতে conductor এর মাঝখানে সিরিজ হিসাবে organic thin flim লাগানো থাকে। এবং যখন ইলেকট্রিক কারেন্ট এর মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত হয় তখন ব্রাইট লাইট এমিট করে যার ফলে আমরা পিক্সেল এ ছবি দেখতে পাই। oled ডিসপ্লে তে কোনোরকম লাইট ব্যবহার করা হয় না এলসিডির মতো।
ওলেড ডিসপ্লে খুব ভালো image quality প্রদান করে। এবং ওলেড ডিসপ্লে খুব হালকা, ফেক্সিবল , ট্রান্সপারেন্ট হয়ে থাকে।
আরও পড়ুন: ইথিকাল হ্যাকার কি ? কিভাবে ইথিকাল হ্যাকার হওয়া যাই
কোন ডিসপ্লে সবচেয়ে ভালো
আমরা সমস্ত ডিসপ্লে একে একে জানলাম কার কোন কাজ এবং কিভাবে তৌরি হয়েছে। সব কিছু বিশ্লেষণ করলে দেখা যাবে সমস্ত ডিসপ্লে ভালো।
এবার আপনার মনে প্রশ্ন আসতেই পারে তা কি করে হয় সমস্ত ডিসপ্লে কিভাবে ভালো হতে পারে ?
বলছি সেটাও বলছি। দেখুন প্রতিটি ডিসপ্লে তার আলাদা কাজ এবং আলাদা সেগমেন্ট এর জন্য বানানো হয়েছে। ধরা যাক আপনি চাইছেন ৫ হাজার টাকার মধ্যে ফোন এবং তাতে আবার এমোলেড ডিসপ্লে সে ক্ষেত্রে আপনি অনেক কোম্পানির ফোন খুঁজলেও পাবেন না কারণ এমোলেড ডিসপ্লে তৌরি তে অনেক খরচ হয়। আবার অপর দিকে ৩০ হাজার টাকার মধ্যে ফোন এ যদি TFT খোঁজেন তাহলে কখনোই পাবেন না কারণ আপনি ৩০ হাজার টাকার মধ্যে TFT ডিসপ্লের ফোন চাইলেও অন্য জন তা কখনোই চাইবে না।
তাই আপনার বাজেট অনুযায়ী দেখুন কোন ডিসপ্লের ফোন বা টিভি আসছে এবং সেটাই নিন।
আমার ব্যাক্তিগত এমোলেড ডিসপ্লে টি বেশ ভালো লাগে যদি মিডরেঞ্জ এর মধ্যে ফোন নেন তাহলে আমি বলবো এমোলেড ডিসপ্লে দেখে নিন।
আমাদের শেষ কথা :
তো বন্ধুরা কেমন লাগলো আজকের এই আর্টিকেল টি। যদি এই আর্টিকেল থেকে কিছু হলেও শিখতে পারলেন তাহলে আব্বাসী অন্যদের সঙ্গে শেয়ার করে দেবেন। আর যদি কোনো প্রশ্ন থাকে তাহলে নির্দ্বিধায় কমেন্ট এ জিজ্ঞাসা করুন। কারণ আপনার মূল্যবান মত্তব আমাদের কাছে অনেক দামি
1 thought on “IPS নাকি AMOLED কোন ডিসপ্লেটি ভালো”