ইথিকাল হ্যাকার কি ? কিভাবে ইথিকাল হ্যাকার হওয়া যাই

হ্যালো বন্ধুরা আমরা প্রায় শুনে থাকি ব্যাঙ্ক একাউন্ট খালি হয়ে গাছে হ্যাকার এ কবল এ পরে।  আবার বা কখনো কারো সোশ্যাল মিডিয়া হ্যাক হয়ে যাওয়া।

এই সব শুনে আপনার মনে হয়েছে যে আমিও যদি হ্যাকার হতে পারতাম এই সব ক্রাইম থেকে সবাই কে রক্ষা করতাম।

আজ আমরা জন্য কিভাবে একজন এথিকাল হ্যাকার হওয়া যাই

হ্যাকার দের মলূত তিনটে ভাগে ভাগ করা হয়েছে

  • White Hat Hacker (Ethical Hacker)
  • Grey Hat Hacker
  • Black Hat Hacker

১) White Hat Hacker 

white hat hacker যাদের কে Ethical Hacker ও বলা হয়ে থাকে।

white hat hacker বা কোনো কোম্পানি বা কোনো বোরো অর্গানাইজেশন এর পারমিশন নিয়ে তাদের ওয়েবসাইট কিংবা সফটওয়্যার এর খামতি গুলো খুঁজে বের করে। এবং কোম্পানির কোন জায়গায় খামতি রয়েছে কিভাবে তাদের সিকিউরিটি বাড়াবে সেই বিষয় এ উপদেশ দিয়ে থাকে।

হোয়াইট হ্যাট হ্যাকার  বা এথিকাল হ্যাকার কখনোই কারো ক্ষতি করে না। এরা সমাজের ভালোর জন্য কাজ করে।

২) Grey Hat Hacker

Grey Hat Hacker রাও সিকিউরিটি এক্সপার্ট হয়। কিন্তু এরা কখনোই এথিকাল হ্যাকিং এর নিয়ম এবং আইন (LAW) কে মেনে চলে না।

গ্রে হ্যাট হ্যাকার  কোনো কোম্পানি বা অর্গানাইজেশন এর পারমিশন ছাড়াই সিস্টেম এ প্রবেশ করে দুর্বলতা খুঁজে বের করে। আবার কখনো কখনো জন প্রকাশে সেই সিস্টেম দুর্বলতা টাকে প্রকাশ করে দেয় যার ফলে কোম্পানির গুরুপ্ত পূর্ণ তথ্য বাইরে চলে আসে এবং অনেক টাকার লস হয়ে যাই।

৩) Black Hat Hacker 

ব্ল্যাক হ্যাট হ্যাকার কে ইন্টারনেট জগতের ক্রিমিনাল ও বলা হয়। ব্ল্যাক হ্যাট হ্যাকার রা সাইবার ক্রাইম থেকে শুরু করে ব্যাঙ্ক থেকে টাকা চুরি এবং গভর্মেন্ট এর ওয়েবসাইট পর্যন্ত ক্ষতি করে থাকে।

এই ব্ল্যাক হ্যাট হ্যাকার দেড় হাত থেকে রক্ষা পেতে বড়ো অর্গানাইজেশন থেকে শুরু করে গভর্মেন্ট পর্যন্ত “White Hat Hacker” দেড় কাজে নিযুক্ত করে থাকেন।

আরও পড়ুন: পুলিশ কিভাবে মোবাইল ফোনে ট্র্যাক করে ?

এথিকাল হ্যাকার কিভাবে হবেন

একজন এথিকাল হ্যাকার হওয়ার জন্য আগে কম্পিউটার এর সম্পর্কে পুরো ধারণা থাকতে হবে। যেমন নেটওয়ার্ক কিভাবে কাজ করে , অপারেটিং সিস্টেম কি , প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ কি এই সব বিষয় গুলো ভালো করে রপ্ত করতে হবে।

এবং বিশেষ করে সাইবার আইন (cyber law) সম্পর্কে ভালো জ্ঞান থাকতে। কারণ একজন এথিকাল হ্যাকার আইন রক্ষার জন্য কাজ করে।

এথিকাল হ্যাকার রা কোন অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার করে

একজন পেশাদার হ্যাকার যেকোনো অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার করে সিস্টেম হ্যাক বা সিস্টেম এর দুর্বলতা বের করতে পারে। তবে হ্যাকার রা তাদের কাজের সুবিদার্থে Kali Linux Operating System ব্যবহার করে থাকে।

এথিকাল হ্যাকার এর চাকরির সুবিধে 

এথিকাল হ্যাকিং একটি high demanding চাকরি। প্রতি বছর 3.5 million হ্যাকার এর প্রয়োজন হয়। তাই এই চাকরি খুবই ভালো একটা career options .

এথিকাল হ্যাকার দেড় চাকরি ছাড়া আর কি কি সুযোগ আছে 

একজন পেশাদার হ্যাকার কখনোই চাকরির আসায় থাকে না। তারা bug bounty(বাগ বাউন্টি) করে খুব কম সময়ে মোটা অঙ্কের টাকা রোজগার করে থাকে।

bug bounty কি 

বাগ বাউন্টি হলো কোনো সিস্টেম বা সফটওয়্যার খোঁজা। গুগল এবং ফেইসবুক এর মতো বড়ো বড়ো কোম্পানি গুলো প্রতি বছর তাদের বাগ বাউন্টি প্রোগ্রাম চালায়।

সিকিউরিটি এক্সপার্ট রা সেই বাগ বাউন্টি অংশগ্রহণ করে তাদের সিস্টেম বা সফটওয়্যার এ কোথাও কোনো সমস্যা আছে কিনা কোম্পানি কে জানাই। কোম্পানির যদি সেই সমস্যা টা সঠিক মনে হয় তার জন্য সেই হ্যাকার কে reward দিয়ে থাকে।

এথিকাল হ্যাকার এর স্যালারি কত 

শুরুতেই এথিকাল হ্যাকার এর বেতন কম পক্ষে ৬০ হাজার থেকে আড়াই লক্ষ টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে। যদি বেশি স্কিল তত বেশি স্যালারি। আমেরিকা তে একজন এথিকাল হ্যাকার এর বাৎসরিক 81000$ ডলার পর্যন্ত হয়ে থাকে।

আপনি যদি হ্যাকিং এর জগতে নিজেকে গড়তে চান তাহলে তাহলে এখুনি শেখা শুরু করে দিন।

কেমন লাগলো আপনাদের এই লেখাটি জানাতে ভুলবেন না আমাদের।

 

1 thought on “ইথিকাল হ্যাকার কি ? কিভাবে ইথিকাল হ্যাকার হওয়া যাই”

Leave a Comment